কক্সবাজারে রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ে ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ সময় অস্ত্র ও সরজ্ঞামসহ চারজনকে আটক করা হয়।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলী পাহাড়ে এ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এদিন দুপুরে কক্সবাজারে র‍্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানান।

আটকরা হলেন—জাফর আলম, লাল মিয়া, মাঈন উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন।

বিজ্ঞপ্তিতে লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে কারখানা গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরি করে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্র। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অস্ত্রের কারখানার সন্ধানে র‍্যাবের একটি চৌকশ দল অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে বুধবার ভোর ৫টার দিকে ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলি এলাকার পাহাড়ে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র‍্যাব। এ সময় কারখানটিতে অবস্থানকারী দুই কারিগরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিজেদের বসতঘর থেকে আরও দুই কারিগরকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় ১০টি বন্দুক, ১০টি রাইফেলের গুলি, ১২টি কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন ধরনের বিপুল সরজ্ঞাম উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আটকরা প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে কারাখান গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরি করে বিভিন্ন অপরাধীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় তাদের অপকর্ম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির বাইরে ছিল। আটকরা কারখানাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও কয়েকজনের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে।’

লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, ‘এ পাহাড়ি এলাকায় আরও কয়েকটি অস্ত্র তৈরির কারখানা থাকার তথ্যও রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’