বিসিবি নির্বাচন পেছানোসহ তিন প্রস্তাব ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে

নতুন মোড় বিসিবি নির্বাচনে। মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর যখন মনে হচ্ছিল সবকিছু অনেকটা স্বাভাবিক, ঠিক তখন শুরু হয়েছে আরেক আলাপ। আগেই একবার পেছানো হয়েছে নির্বাচনের তারিখ। আবারও পেছানোর কথা বলছেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া প্রার্থীরা।
মিরপুরে আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) গণমাধ্যমের সামনে নির্বাচন পেছানোসহ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কাছে তিনটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগে গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন ১৭ প্রার্থী। এর মধ্যে ছিলেন সভাপতি পদে লড়ার ঘোষণা দেওয়া তামিম ইকবালও। আজ দুপুর ১২টার মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। তবে সেই আহ্বানে কেউ সাড়া দেয়নি।
নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে সাড়া না দিলেও আজ বিসিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা দুজন। রফিকুল ইসলাম বাবু ও মির্জা ইয়াসির আব্বাস। গণমাধম্যমের মুখোমুখি হয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কাছে তিনটি দাবি জানান ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলামকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের যে সুযোগ ছিল, সেটি কেউ করেছেন কি না? তিনি বললেন, ‘সময়টা যদি বাড়ানো হয়, পুনঃনির্ধারণ করা যায়, সেক্ষেত্রে সবারই সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।’
যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন, তাদের মধ্যে বড় নামটি ছিল তামিম ইকবালের। তাদের এই দাবির সঙ্গে তামিমও একমত কি না, এমন প্রশ্নে কিছুটা রহস্য রেখে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটেদের স্বার্থে সবার তরফ থেকেই কথাটা বলছি।’
মনোনয়ন প্রত্যাহার করা এই প্রার্থীদের দাবি তিনটি হল—বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ আরও কিছুদিন বাড়ানো, সম্ভব হলে অ্যাডহক কমিটি গঠন এবং নির্বাচন পিছিয়ে নতুন করে সময়সূচি নির্ধারণ করা।
রফিকুল ইসলাম যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকে ক্রীড়াঙ্গনের ‘অভিভাবক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এই দাবিগুলো ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে জানাতে চাই। উনি যথাযথ সুন্দর একটা সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ক্রিকেট ক্রিকেটের জায়গায় থাকবে। তিনিই এখন ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক।’