সুদানে ড্রোন হামলায় নিহত ১৫

সুদানের অবরুদ্ধ শহর এল-ফাশারের একটি বাজারে ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এই হামলা চালানো হয় বলে স্থানীয় হাসপাতালের একজন চিকিৎসা কর্মী নিশ্চিত করেছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। খবর এএফপির।
স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটি এই আক্রমণকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে। এর জন্য আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-কে দায়ী করেছে। কমিটি জানিয়েছে, এই হামলায় মোট ২৭ জন হতাহত হয়েছেন।
আরএসএফ বর্তমানে এল-ফাশার দখলের জন্য সর্বাত্মক হামলা চালাচ্ছে। গত বছরের মে মাস থেকে শহরটি আরএসএফ-এর অবরোধের মধ্যে রয়েছে।
এল-ফাশার আরএসএফের বোমাবর্ষণে কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। আরএসএফ-এর যোদ্ধারা শহরের চারপাশে বাস্তুচ্যুত মানুষদের শিবির দখল করে নিয়েছে।
জাতিসংঘের অনুমান, এই শহরে প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু।
চিকিৎসাকর্মীরা জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা এড়াতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা কাজ করছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ নেই ও তারা ক্ষতে ব্যান্ডেজ করার জন্য গজের পরিবর্তে মশারির টুকরো ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
গত শুক্রবারও আরএসএফ-এর ড্রোন হামলায় শহরের একটি মসজিদে কমপক্ষে ৭৫ জন নিহত হন, যার মধ্যে ১১ জন শিশু ছিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা।
এল-ফাশার হলো দারফুর অঞ্চলের শেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর, যা এখনও নিয়মিত সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর পতন ঘটলে আরএসএফ পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল এলাকার সমস্ত জনবসতিপূর্ণ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাবে।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা এই অঞ্চলে অ-আরব জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর জন্য আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ এবং তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। এল-ফাশারে সেনাবাহিনীর পক্ষে লড়াইরত যৌথ বাহিনী জোটের অধিকাংশ যোদ্ধা জাঘাওয়া জাতিগোষ্ঠীর।